• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
সাগর-রুনি হত্যা মামলা

এক দশকেও শেষ হলো না তদন্ত 


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২, ০৮:৪৮ এএম
এক দশকেও শেষ হলো না তদন্ত 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ১০ বছর পার হয়েছে। এত বছরেও এই হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকাজ শেষ হয়নি। গত ১০ বছরে ৮৫ বার সময় নিয়েও আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা।

সাগর-রুনিকে হত্যা রহস্য আজও জানা যায়নি। প্রতি মাসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালতের কাছে র‍্যাবের সময় চাওয়া ছাড়া আরেকটি তথ্যের কথা বলছে র‍্যাব। তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে ডিএনএ থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির ছবি প্রস্তুতের কাজ চলছে। 

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি ছিল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ৮৫তম তারিখ। কিন্তু এই তারিখেও অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি কর্মকর্তা। তাই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী সময় ধার্য করেছেন ২৩ ফেব্রুয়ারি।

এ মামলায় ১৬০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সন্দেহভাজন হিসেবে আছেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মো. সাইদ, মিন্টু ও কামরুল হাসান। গ্রেপ্তার হওয়া বাকি আসামিরা হলেন সাগর-রুনির ভাড়া বাসার নিরাপত্তাপ্রহরী এনামুল ও পলাশ রুদ্র পাল এবং রুনির বন্ধু তানভীর রহমান। তানভীর ও এনামুল জামিনে আছেন, বাকিরা কারাগারে।

সাগর-রুনি হত্যার আগের রাতে রুনির সঙ্গে মুঠোফোনে কয়েক সেকেন্ড কথা হয়েছিল তানভীরের। ওই কথার সূত্র ধরে তানভীরকে দফায় দফায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ডিবি ও র‍্যাবের কর্মকর্তারা।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকারও জানিয়েছিলেন, তদন্তে প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

২০১৪ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে এই হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে। তারপরও এই চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮৫ বার আদালত থেকে সময় নেওয়া হয়েছে।
 

Link copied!